আজকাল মুসলিম মেয়েরা কপালে টিপ পড়ে। কিন্তু মেয়েদের কপালে টিপ পড়া কোথায় থেকে এবং কিভাবে ব্যবহার শুরু হল ? এই বিষয়ে অনেকই জানে না!
.
হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম কে যখন আগুনে পুড়িয়ে মারার জন্য নমরুদ ৮
মাইল পরিমান জায়গা আগুন জ্বালালো , তখন একটা নতুন সমস্যা দেখা দিল।
আগুনের উত্তাপ এতই বেশি ছিল যে তার কাছে পৌছানো যাচ্ছিল না। তাই একটা চরক
বানানো হল যার মাধ্যমে ইবরাহীম আলাইহিস সালাম কে ছুড়ে আগুনে নিক্ষেপ করা যায়।
.
কিন্তু রহমতের ফেরেশতা রা চরকের একপাশে ভর করে থাকায় চরক ঘুরানো যাচ্ছিল না।
![]() |
মেয়েদের কপালে টিপ পরা হারাম |
.
তখন শয়তান নমরুদকে কুবুদ্ধি দিল কিছু নগ্ন মেয়ে(পতিতা) এনে চরকের সামনে
বসিয়ে দিতে, কারন এ অবস্থায় ফেরেশতারা থাকতে পারবে না। নাউযুবিল্লাহ!
.
তাই করা হল এবং ফেরেশতারা চলে গেল, ইবরাহীম আলাইহিস সালাম কে আগুনে
নিক্ষেপ করতে তারা সক্ষম হলেন। পরবর্তিতে ঐ মেয়েগুলোকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা
দান করা হল এবং তাদের মাথায় তীলক পরানো হল। যেটা এখন আমাদের কাছে টিপ
নামে পরিচিত।
.
অতএব যারা বলে— মহিলাদের সৌন্দর্য সব জায়গায় এবং
এই দোহাই দিয়ে টিপ কে নিজেদের জন্য বৈধ মনে করেন, তারা যুগযুগ ধরে নিজেদের
কোন পরিচয় বহন করছেন তা একবার ভেবে দেখবেন ?
.
পতিতার পরিচয়
বোঝানোর জন্য যে টিপ ব্যবহার করা হত, তা আজ আমাদের উপমহাদেশে ফ্যাশন! ওহে!
মুসলিম নারীরা! তোমরা কি নিজেদের পতিতা বানাতে চাও? নাউযুবিল্লাহ! এই সত্য
কথাটা জানার পর ও কি আপনি আপনাদের কপালে টিপ পড়বেন??
.
মানুষ
মাত্রই ভুল! আর যখন কোন বান্দা বান্দি নিজের ভুল বুঝতে পারে এবং আল্লাহ পাক
উনার কাছে ক্ষমা চায় আল্লাহ পাক ক্ষমা করে দেন। সুবহানাল্লাহ
তাই আসুন
হে মুসলিম বোনেরা আমরা সবাই আজ থেকে কপালে টিপ পড়া ছেরে দেই,আল্লাহ পাক
এবং হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি মোবারক
অর্জন করি!
.
কপালে টিপ পড়া হারাম দলিলঃ
.
* তাফসীরে মা-রেফুল কুরআন, হযরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম মূলগ্রন্থ
* তাবারী, তারীখ, ১খন্ড, ১২৩-১২৪; ছালাবী
* আদি গ্রন্থ, কাসাসুল আম্বিয়া, পৃষ্ঠাঃ ৮১, আদি ইসলামী ইতিহাস
* ইবনে কাসীর