নানা জল্পনা-কল্পনা ও গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। দপ্তর হারানোর এক সপ্তাহের মাথায় তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
![]() |
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পেলেন আশরাফ |
বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূঁঞয়া। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী রুলস অব বিজনেস, ১৯৯৬ এর রুল ৩(৪)-এ দেয়া ক্ষমতাবলে মন্ত্রীর দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করেছেন। প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রিপরিষদ সচিব স্বাক্ষরিত এ আদেশটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এর আগে গত ৯ জুলাই সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে অব্যাহতি দিয়ে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করা হয়। একই সঙ্গে ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়। এরপর থেকে শুরু হয় নানা গুঞ্জন। সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মন্ত্রিসভা ও দলের দায়িত্বে থাকা-না থাকা নিয়ে নানা ধরনের গুঞ্জন চলে। এরই মধ্যে সৈয়দ আশরাফ সিদ্ধান্ত নেন, ছোট ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগদানের পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে ১৫ জুলাই সকাল ১০টা ১০ মিনিটে লন্ডন যাবেন। গত ১০ জুলাই তিনি এ সিদ্ধান্ত নেন। পরে গত রবিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত টানা চারদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের একান্তে বৈঠক হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাকে আপতত লন্ডনে না যাওয়ার পরামর্শ দেন। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী গত ১৪ জুলাই সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম তার লন্ডন যাত্রা স্থগিত করেন। ওই দিনই বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভায় নতুন পাঁচ জন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী শপথ নেন। গত ৯ জুলাই স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী অব্যাহতি দেয়ার আগে দুপুরে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যান এবং শেখ হাসিনার সঙ্গে ঘণ্টাখানেক একান্তে কথা বলেন।
সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করে জনপ্রশাসন করার পর সৈয়দ আশরাফুল ইসলামই এই দপ্তরের প্রথম পূর্ণ মন্ত্রী। দেড় বছর ধরে এই মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসছেন সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত এ এইচ এস কে সাদেকের স্ত্রী ইসমত আরা সাদেক।
আওয়ামী লীগে ‘ডুমুরের ফুল’ বলে খ্যাত ৬৩ বছর বয়সী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম গত সাত বছর ধরে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রায় একই সময় ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদেও রয়েছেন তিনি। ২০০৯ সালে কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। পরিচ্ছন্ন ইমেজ, বিশ্বস্থতা আর সততার প্রশ্নে সৈয়দ আশরাফের বিরুদ্ধে ঘোরতর শত্রুরাও কোনো অভিযোগ তুলতে পারেন না।
কিশোরগঞ্জের সংসদ সদস্য সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ছাত্রজীবনে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর জেলখানায় সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পর লন্ডনে চলে যান আশরাফ। ১৯৯৬ সালে দেশে ফিরে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর শেখ হাসিনার সরকারে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী হন তিনি। ১৯৯৬ সাল থেকে তিনি প্রতিটি সংসদ নির্বাচনেই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছেন। ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর শেখ হাসিনাসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের বন্দি হওয়ার প্রেক্ষাপটে দলে সাধারণ সম্পাদকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের ভার আসে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহকর্মী সৈয়দ নজরুলের ছেলে সৈয়দ আশরাফের ওপর। পরে ২০০৯ সালে কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন আশরাফ। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে শেখ হাসিনার সরকারে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন আশরাফ। ২০১৪ সালে শেখ হাসিনা পুনরায় সরকার গঠন করলে আশরাফকে একই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়।
এর আগে গত ৯ জুলাই সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে অব্যাহতি দিয়ে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করা হয়। একই সঙ্গে ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়। এরপর থেকে শুরু হয় নানা গুঞ্জন। সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মন্ত্রিসভা ও দলের দায়িত্বে থাকা-না থাকা নিয়ে নানা ধরনের গুঞ্জন চলে। এরই মধ্যে সৈয়দ আশরাফ সিদ্ধান্ত নেন, ছোট ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগদানের পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে ১৫ জুলাই সকাল ১০টা ১০ মিনিটে লন্ডন যাবেন। গত ১০ জুলাই তিনি এ সিদ্ধান্ত নেন। পরে গত রবিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত টানা চারদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের একান্তে বৈঠক হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাকে আপতত লন্ডনে না যাওয়ার পরামর্শ দেন। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী গত ১৪ জুলাই সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম তার লন্ডন যাত্রা স্থগিত করেন। ওই দিনই বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভায় নতুন পাঁচ জন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী শপথ নেন। গত ৯ জুলাই স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী অব্যাহতি দেয়ার আগে দুপুরে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যান এবং শেখ হাসিনার সঙ্গে ঘণ্টাখানেক একান্তে কথা বলেন।
সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করে জনপ্রশাসন করার পর সৈয়দ আশরাফুল ইসলামই এই দপ্তরের প্রথম পূর্ণ মন্ত্রী। দেড় বছর ধরে এই মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসছেন সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত এ এইচ এস কে সাদেকের স্ত্রী ইসমত আরা সাদেক।
আওয়ামী লীগে ‘ডুমুরের ফুল’ বলে খ্যাত ৬৩ বছর বয়সী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম গত সাত বছর ধরে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রায় একই সময় ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদেও রয়েছেন তিনি। ২০০৯ সালে কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। পরিচ্ছন্ন ইমেজ, বিশ্বস্থতা আর সততার প্রশ্নে সৈয়দ আশরাফের বিরুদ্ধে ঘোরতর শত্রুরাও কোনো অভিযোগ তুলতে পারেন না।
কিশোরগঞ্জের সংসদ সদস্য সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ছাত্রজীবনে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর জেলখানায় সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পর লন্ডনে চলে যান আশরাফ। ১৯৯৬ সালে দেশে ফিরে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর শেখ হাসিনার সরকারে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী হন তিনি। ১৯৯৬ সাল থেকে তিনি প্রতিটি সংসদ নির্বাচনেই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছেন। ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর শেখ হাসিনাসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের বন্দি হওয়ার প্রেক্ষাপটে দলে সাধারণ সম্পাদকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের ভার আসে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহকর্মী সৈয়দ নজরুলের ছেলে সৈয়দ আশরাফের ওপর। পরে ২০০৯ সালে কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন আশরাফ। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে শেখ হাসিনার সরকারে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন আশরাফ। ২০১৪ সালে শেখ হাসিনা পুনরায় সরকার গঠন করলে আশরাফকে একই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়।